রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার// সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজের পসরা সাজিয়ে বসেছে দপদপিয়ার স্টুডিও ব্যবসায়ী জামাল হাওলাদার। ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে অনৈতিক কর্মকান্ডসহ টাকা পয়সাও হাতিয়ে নেয় জামাল। জামালের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে এভাবে অনেক নারী সর্বসান্ত হয়েছে। জামালের পূর্বে একবার বিয়ে হলেও স্ত্রী তার এসব অনৈতিক কর্মকান্ড জেনে ফেলার ডিভোর্স দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। জামাল নলছিটি দপদপিয়া এলাকার জালাল হাওলাদারের ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারণার শিকার এক নারী জানান, গত কয়েক মাস পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে জামালের সাথে পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে জামাল তাকে বিভিন্ন সময় ম্যাসেজ করত। প্রথমে সে ম্যাসেজের কোন উত্তর না দিলে জামাল বিভিন্ন ভাবে তাকে ভুল বুঝিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এভাবে দিনের পর দিন জামালের সাথে তার সম্পর্কের উন্নতি হয়। ঘটনাক্রমে জামালের সাথে সে দেখা করে ও প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। পরে জামাল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। এছাড়া জামাল তার সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। এরপর ওই নারী জামালকে বিয়ের করার জন্য চাপ দিলেই শুরু হয় তার টালবাহানা।
এনিয়ে ওই নারী সাথে জামালের ঝগড়া-বিবাদও হয়। একপর্যায়ে জামাল ওই নারী বিয়ে করতে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ওই নারীকে জামাল বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সামনা সামনি কথা বলার জন্য ওই নারী জামালের সাথে দেখা করে। সেখানে জামালের সাথে তার কথাকাটাকাটি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জামাল তার মোবাইল ফোন রেখে পাশে গেলে ওই নারী জামালের মোবাইল ফোন ঘেটে জামালের সব অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রমান পায়। জামাল ফেসবুকে ওই নারীর মত প্রায় অর্ধশত নারীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
এসব নারীদের সাথে জামাল ফেসবুকের মাধ্যমে কথা বলে মোবাইল নম্বর নিয়ে সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়। পরে তাদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া কিছু নারীদের বন্ধু বানিয়েও তাদের সর্বসান্ত করে জামাল। এসব কর্মকান্ডের স্ক্রিন শর্ট দিয়ে প্রমান রেখে দিয়েছে ওই নারী। ওই নারী স্ক্রিন শর্টে দেখা যায় অর্নিয়া আফরিন নামে একটি মেয়ের সাথে জামালের গত ২০ ফেব্রুয়ারী প্রথম কথা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে ওই মেয়েকে জামাল প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু করে জামাল। এছাড়া পাপিয়া ইসলাম নামে এক মেয়ে এ্যানজেল মোনালিসা নামে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে।
এ মেয়েকে জামাল ম্যাসেজের মাধ্যমে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এভাবেই বুশরা খান, এ্যানজেল এ্যানজেল স্বর্ণা, শিল্পী আক্তার তমা, সায়েদা তাজিন, সেই আমি অনামিকা, প্রিয়া আক্তার মনিকাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক মেয়ের সাথে তার প্রতিনিয়ত প্রেমের আলাপ করে জামাল। জামালের এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে তার নিজ এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আছে। এলাকায় স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রীরা জামালের দ্বারা ইভিটিজিংয়ের শিকার হয়।
এ বিষয়ে জামালের সাথে আলাপ করলে সে বিষয়টি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র বলে জানায়। দপদপিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা জানান, ইতিপূর্বে জামাল তার কর্মকান্ডের ফল পেয়েছে। জামালের এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। কেউ সুনির্দিষ্ট ভাবে জামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply